আওয়ার ইসলাম: সিরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ইউরোপীয় দেশগুলি তুরস্কের উপর কঠোর নীতি আরোপ করা শুরু করেছে। জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের পর তুরস্কের অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছে ফ্রান্স।
ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তারা পূর্বপরিকল্পিত অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখছে তারা।
৭ অক্টোবর সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তুরস্ক। পরে ৯ অক্টোবরর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ‘পিস স্প্রিং অপারেশন’ শুরু করে আঙ্কারা। অভিযানের অংশ হিসেবে তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ইউফ্রেতাসের পূর্ব দিকে প্রবেশ করে। তুর্কি অভিযানে সহযোগিতার জন্য তারা অগ্রসর হচ্ছে।
পরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় অভিযানে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করে তুরস্ক। এতে তিন শতাধিক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আঙ্কারা। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, এ অভিযানে ১১ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
ফ্রান্স জানায়, তুরস্কে এমন যুদ্ধ সরঞ্জাম তুরস্ককে তারা বিক্রি করবে না যা সিরিয়া অভিযানে ব্যবহার করা হতে পারে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই এমন ঘোষণা দিয়েছিলো জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, জার্মানি এমন কোনও সামরিক সরঞ্জাম তুরস্ককে দিবে না যেটা তারা সিরিয়া অভিযানে ব্যবহার করতে পারে।
জবাবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, এটা তাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন, টিকে থাকার প্রশ্ন। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় শত্রুপক্ষই শক্তিশালী হবে। তিনি বলেন, আমাদের মিত্ররা যদি সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে। আমাদের সঙ্গে যদি কেউ না থাকে, আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
আরএম/