সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক
তরুণ আলেম ও ওয়ায়েজ মুফতি রিজওয়ান রফিকীকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ৯টার টার গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকায় নিজের মাদরাসার সামনে থেকে তাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
মুফতি রিজওয়ান রফিকীর বড় ভাই মুফতি আব্দুল্লাহ সালেহী আওয়ার ইসলামকে জানান, ‘মারকাজুন নূর গাজীপুর নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানে কিতাব অধ্যায়নরত অবস্থায় ছিলেন মুফতি রিজওয়ান রফিকী। হঠাৎ মাদরাসার সামনে একটি গাড়ি আসে। গাড়িতে আরোহীদের মধ্যে দুজন ডিবি পোশাকধারী ও তিনজন ছিলেন ফরমাল ড্রেসে। ডিবি পোশাক পরিহিত দুজনের সাথে আর্মস ছিল। তারা মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করেননি। বাকি তিনজনের সাথে কোন প্রকার অস্ত্র দেখা যায়নি।’
‘ফরমাল ড্রেসে থাকা তিনজন মুফতি রিজওয়ান রফিকী অফিসে প্রবেশ করেন। সেই মুহূর্তে মুফতি রিজওয়ান রফিকী কিতাব অধ্যায়নরত ছিলেন সেই। তিন জনের একজন মুফতি রিজওয়ান রফিকীকে বলেন, আপনি আমাদের সঙ্গে চলুন। আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার আছে। উত্তরে মুফতি রিজওয়ান রফিকী বলেন, ‘আমার তো সেরকম জামাকাপড় এই মুহূর্তে কাছে নেই, আমি বরং ফোন করে জামা আনার ব্যবস্থা করি। কিন্তু লোকটি ফোন করতে বাধা দেন।’ বললেন মুফতি আব্দুল্লাহ সালেহী ।
‘ডিবি পরিচয়ধারীরা মুফতি রফিকীকে বলেছেন, কোন সমস্যা হবেনা, আপনি সাধারন পোশাকেই আমাদের সঙ্গে চলুন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে। তখন মুফতি রিজওয়ান রফিকীর কাছে যে মেহমান এসেছিলেন তিনিও তার সঙ্গে যেতে চাইলেন। যেহেতু সামান্য জিজ্ঞাসাবাদ মাত্র। কিন্তু আগত লোকটি (ডিবি পরিচয়ধারী) তা মেনে নেননি। মেহমানকে উদ্দেশ্য করে লোকটি বললেন, আপনি এই গাড়িতে নয় পরের গাড়িতে আসুন।’ যোগ করেন তিনি।
মুফতি আব্দুল্লাহ সালেহী আরো জানান, এর কিছুক্ষণ পরেই আমরা থানায় যোগাযোগ করি। থানা থেকে আমাদেরকে বলা হলো- এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো রকম ইনফরমেশন নেই। তার পরেই আমরা ছুটে যাই ডিবি অফিসে। সেখানেও কোনরকম তথ্য পাইনি।
ডিবি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, এই মুহূর্তে আমাদের দুটি টিম ফিল্ডে রয়েছে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে নগরীর বোর্ড বাজার থানায় যোগাযোগ করা হলে কোনো তথ্য জানেন না বলে জানানো হয়।
এদিকে মুফতি রিজওয়ান রফিকীকে তুলে নেয়ার খবর মুহুর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রখ্যাত এ ওয়ায়েজকে আটক করার ব্যাপারে প্রশাসনের স্পষ্ট বক্তব্যের দাবি তুলেছে নেটিজেনরা।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
আরএম/