আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামী দুই দিন আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই আগামী সোমবার (১৪ অক্টোবর) বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানে বাধা থাকছে না।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় সেখানে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে আন্দোলন দুই দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বাস্তবায়নযোগ্য পাঁচ দফা দাবি না মানলে আন্দোলন থেকে সরে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরদিন শনিবার তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। হত্যাকারীরা আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায়। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বুয়েট থেকে দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাত আটটায় শেষ হয়। বৈঠকে প্রশাসন দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা ও ১৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কারের আশ্বাস দেয় শিক্ষার্থীদের। তবে এর ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
-এএ