আওয়ার ইসলাম: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনে সক্ষম; তবে সেটি করা হবে না। কারণ পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হারাম অথবা ইসলামে নিষিদ্ধ।
বুধবার দেশটির তরুণ বিজ্ঞানীরা দেখা করতে গেলে ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা এমন মন্তব্য করেন।
খামেনির কার্যালয়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, এটার ব্যবহার যেহেতু হারাম, সেজন্য এই অস্ত্রের উৎপাদন এবং মজুদ দুটিই ঠিক নয়।
ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেন, পরমাণু বোমা উৎপাদন বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করছে না তেহরান। এ ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদন না করার ব্যাপারে তিনি যে ফতোয়া দিয়েছেন সেকথা স্মরণ করে নিজের কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা করেন।
দেশটির প্রায় দুই হাজার তরুণ বিজ্ঞানী সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন খামেনি। তিনি বলেন, পরমাণু বোমা তৈরি করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ইসলামি অনুশাসনের ভিত্তিতে আমি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারকে হারাম ঘোষণা করেছি। কাজেই যে অস্ত্র ব্যবহার সম্পূর্ণ হারাম সে অস্ত্র তৈরি বা সংরক্ষণে পুঁজি বিনিয়োগ করার কোনো অর্থ হয় না।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে বলে আসছে যে, তারা পারমাণকি কর্মসূচি পরিচালনা করছে শান্তিপূর্ণ জ্বালানি উৎপাদন এবং চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্ব শক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যায়। ইরান পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘন করে গোপনে অস্ত্র উৎপাদন করছে; এমন অভিযোগ এনে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চুক্তি থেকে বেরিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। তবে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন ও মজুদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।