আওয়ার ইসলাম: আফগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগেই নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই জয়ের দাবি করায় মনে হচ্ছে, তারা পরাজয় স্বীকার করবেন না। আগামী ১৯ অক্টোবর ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোনো প্রার্থী অর্ধেকের চেয়ে বেশি ভোট না পেলে নতুন করে নির্বাচন হবে।
ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিসের প্রগ্রাম অফিসার কলিন কুকম্যান বলেন, ফলাফল নিয়ে বড় ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট ও বিভেদমূলক লড়াই শুরু হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি আছে। আর তালেবান এখনো কার্যত ঐক্যবদ্ধ রয়ে গেছে।
আফগানিস্তানে চেক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পিটার স্টেপানেক বলেন, বসন্তের আগে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন হবে না। ফলে অনিশ্চয়তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪,৫০০ অভিযোগ দাখিল হয়েছে। এর ফলে পরাজিত প্রার্থী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ পাবে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইলেকশন কমিশন রোববার জানিয়েছে, কিছু বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মেশিন খোয়া গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ভোটার উপস্থিতি ছিল ২.৬ মিলিয়ন, তথা মোট যোগ্য ভোটারের এক চতুর্থাংশ ভোট দিয়েছেন।
এদিকে গনির এক নির্বাচনী কর্মকর্তা দাউদ সুলতানজয় বলেন, গনি আফগানিস্তানের নগরীগুলোতে বিপুল সমর্থন ভোগ করছেন, একইসাথে তিনি উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে আবদুল্লাহর সমর্থন হ্রাস করেছেন। ফলে গানি সহজেই নির্বাচনে জয়ী হবেন।
আবার আবদুল্লাহও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি হাজারা, তাজিক, উজবেক ও পশতুদের একটি অংশ নিয়ে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আশরাফ গানি ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ একে অপরের বিরুদ্ধে মারাত্মক প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্ততা করে ক্ষমতা ভাগাভাগির ব্যবস্থা করেছিল। এতে গানি হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট, আর আবদুল্লাহ হয়েছিলেন প্রধান নির্বাহী।
উভয়েই এবারও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এবার তারা ওই ধরনের ব্যবস্থায় রাজি হবেন না।
একই সময় দুই দশক আগে ক্ষমতাচ্যূতির পর তালেবান বিদ্রোহীরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা কাবুল প্রশাসনকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। তাদের মতে, এই প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সরকার।
সূত্র : রয়টার্স