আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ তার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে যোগে তা পৌঁছায়। সেখানে সকাল সাড়ে ছয়টায় আবরারের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, দুপুর নাগাদ আবরারের দাফন হবে তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টির কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গায়। দাফনের আগে সেখানে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আবরারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ঢাকায় বুয়েট প্রাঙ্গণে গতকাল রাত দশটার দিকে। এরপর তাঁর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ। গত রোববার দিবাগত রাত ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মধ্য থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরএম/