নুরুল্লাহ আশরাফী
দেওবন্দ থেকে
ইমরান খানকে অযোগ্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে পাকিস্তানে সরকার উৎখাত করতে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান। এ আন্দোলনে জমিয়তকে পিপিপি ও পিএমএল-এনসহ কয়েকটি বিরোধী দলও সমর্থন দিচ্ছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম প্রধান মাওলানা ফজলুর তার ডুবে যাওয়া রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। বিরোধীদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে মাওলানা ফজলুর রহমান আন্দোলনে নামছে বলেও অভিযোগ তার।
তবে মাওলানা ফজলুর রহমান তিন দফা পরিকল্পনা সামনে রেখে সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের তিন দফা-
১. প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন এবং মন্ত্রীপরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে সাধারন নির্বাচন ষোষণা করতে হবে।
২. প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর অন্তবর্তীকালীন সরকারে যদি তার দলের কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে চায়, তবে তাকে সংসদের বিরোধী দলগুলো থেকে আস্থাভোট নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলো থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
৩. সরকার ভেঙ্গে দেয়ার পরে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় কমিটি গঠন করে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।
এদিকে, পাকিস্তানে সরকার বিরোধী আন্দোলনের আগেই মাওলানা ফজলুর রহমান গ্রেফতার হতে পারেন বলে ধারণা করছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে গ্রেফতারের ভয় পান না বলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
গতকাল গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে মাওলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, আমার গ্রেপ্তারের ভয় নেই, আমি যদি গ্রেপ্তার হই, তবে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। আসিফ জারদারি আমাদের সাথে আছেন, হতাশার কিছু নেই। সরকার মাদরাসা ইস্যু উত্থাপন করে বৈশ্বিক সমর্থন চাইছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, ক্ষমতায় আর অবৈধ সরকার চাই না।
আরএম/