আওয়ার ইসলাম: দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে ইংল্যান্ডের ব্যাংকে গচ্ছিত হায়দরাবাদের নিজামের ১০ লক্ষ পাউন্ড নিজেদের দাবি করে আসছিল পাকিস্তান। ফলে, কয়েক যুগ ধরে এ অর্থ আটক পাকিস্তানের কব্জায়তেই ছিল।
এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে দশকের পর দশক ধরে মামলাও চলে আসছিল। কিন্তু উভয়ের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কোনো সমাধান হয়নি এতদিন।
কিন্তু, এই সম্পত্তির দাবিদার হিসাবে নিজামের বংশধর প্রিন্স মুকাররম জাহ ভারতের সঙ্গেই এই মামলায় অংশ নেন। ফলে, ভারতের পক্ষেই রায় দিল লন্ডন হাইকোর্ট।
গত বুধবার লন্ডনের হাইকোর্টের রায়ে নিজামের ওই সম্পত্তিতে পাকিস্তানের কোনো অধিকার নেই বলে ঘোষণা করে। বলা হয়, নিজামের বংশধরই ওই টাকার অধিকারী।
১৮৪৮ সালে হায়দরাবাদের তৎকালীন নিজাম ওসমান আলী খান ব্রিটেনে পাকিস্তান হাইকমিশনারের কাছে ১০ লক্ষ পাউন্ড নিরাপদে রাখার জন্য দিয়েছিলেন। দেশ ভাগের সময় ওসমান আলী খান পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিলেও থেকে যান ভারতেই। তার শেষ জীবন কাটে ভারতেই।
১৯৬৭ সালে হায়দরাবাদের নিজামদের প্রাসাদেই তার মৃত্যু হয়। ওসমান আলী খানের জীবদ্দশায় ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সে সময় থেকেই পাকিস্তানের হাইকমিশনার হাবিব ইব্রাহিম রহিমতোলার ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ওই বিপুল অর্থ গচ্ছিত রাখা হয় এবং ওই অর্থ নিজেদের বলেই দাবি করে পাকিস্তান।
ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে গচ্ছিত নিজাম ওসমান আলী খানের সেই ১০ লক্ষ পাউন্ড বর্তমানে সুদে-আসলে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩.৫ কোটি পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৬ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে পাকিস্তান দাবি করে, নিজাম ওসমান আলী খানের ওই অর্থ তাদের সরকারের প্রাপ্য।
লন্ডনের ‘রয়্যাল কোর্টস অব জাস্টিস’-এ বিচারক মার্কাস স্মিথ পাকিস্তানের এই দাবি নাকচ করে বলেন, এই দাবির সপক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাই নিজামের ওই সম্পত্তিতে পাকিস্তানের কোনো অধিকার নেই।
সূত্রঃ জিনিউজ
আরএম/