আওয়ার ইসলাম: ভারতীয় সংসদে পাশ হওয়ার পরে জুলাই মাসেই আইনি ভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে তিন তালাক।
কিন্তু পরিস্থিতি যে অনেক ক্ষেত্রেই বদলায়নি ফের তার প্রমাণ মিলল রাজস্থানে। সামান্য কারণে স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।
ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়েছে তিন তালাক প্রথা। তার পরেও তিন তালাক দেওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন রাজস্থানের বরন জেলার শবরুন্নিসা। বয়স ২৪ বছর। খবর দ্য ওয়ালের।
শবরুন্নিসার অভিযোগ, তিনি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার। দিনরাত বেধড়ক মারধর করতেন স্বামী সাকিল আহমেদ। অতীষ্ট হয়ে ছেলেকে নিয়ে নিজের বাবার বাড়িতেই থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি।
শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেও মেলেনি রেহাই। রাস্তাঘাটে যখন তখন পিছু নিতেন সাকিল। লোকজনের সামনেই হেনস্থা করতেন।
শবরুন্নিসা জানিয়েছেন, একদিন রাস্তায় তাঁকে পাকড়াও করে ক্যারম বোর্ড কিনে দিতে বলেন সাকিল। তাঁর দাবি ছিল ছেলের জন্য এই ক্যারম বোর্ড কিনতে চাইছেন তিনি। শবরুন্নিসা রাজি না হলে তাঁকে তিন তালাক দিয়ে দেন সাকিল।
অন্তা টাউন থানার স্টেশন হাউস অফিসার রূপ সিং জানিয়েছেন, সাকিলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন শবরুন্নিসা। তাঁর দাবি, এই ক্যারম বোর্ড আসলে নিজের জন্যই নিতে চাইছিলেন সাকিল।
প্রায়ই তার কাছ থেকে টাকা চাইতেন স্বামী। না দিলে অকথ্য গালিগালাজ করতেন। মারধরও করতেন। শবরুন্নিসার অভিযোগের ভিত্তিতে সাকিলের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই, ২০১৯-এ রাজ্যসভায় তালাক বিল পাশ হয়েছে। এর আগে লোকসভায় অনুমোদিত হয়েছে তালাক অর্ডিন্যান্স বিল।
ওই বিলে তাৎক্ষণিক তিন-তালাককে ফৌজদারি তকমা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও তিন তালাকের নামে নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
কখনও স্বামীর ঘাড়ধাক্কা, অত্যাচার, আবার কখনও পুড়ে মরতে হচ্ছে অনেক মুসলিম মহিলাকে।
রিপোর্ট বলছে, জুলাই মাসের পর থেকে রাজস্থানের কোটাতেই পাঁচটা তিন তালাকের অভিযোগ জমা পড়েছে। এটা নিয়ে ষষ্ঠ।
-এটি