আওয়ার ইসলাম: ইরাকে সরকার-বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ -এ দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে শত শত বিক্ষোভকারী। চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে ওই আন্দোলন। শুক্রবার ওই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলনে পরিণত হয়।
এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি আন্দোলনকারীদের দাবি মানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সব প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে ঘোষণা বিক্ষোভকারীদের।
গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশটির চাকরি সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও সরকারি অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামেন এসব বিক্ষোভকারী।
নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
শুক্রবার সকালে দেশটির নিরাপত্তা ও মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, গত তিন দিনে আন্দোলনে ৪৬ জন নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়।
ইরাকের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিস্তানি ধর্মীয় বক্তৃতায় বলেন, ‘এতো মানুষের মৃত্যু, হতাহত ও সম্পদ ধ্বংস হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
এদিকে, সব প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। নিজ দেশের পতাকা হাতে এখনও রাস্তায় অবস্থান করছেন তারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হতাহতের ঘটনায় শিয়া অধ্যুষিত শহরগুলোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইরাক সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ।
আরএম/