আওয়ার ইসলাম: কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় একটি অবৈধ সোনার খনি ধসে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। তাছাড়া এখনো এতে অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানায়, গতকাল বুধবার দুপুরে মানিয়েমা প্রদেশের কাম্পেন শহরে হওয়া দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে বেশকিছু নারী ও শিশু রয়েছে। অঞ্চলটিতে কর্মরত বেসরকারি সংস্থাগুলো নিহতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ২০ জন জানালেও সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজনকে এরই মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া ধসে পড়া খনিতে এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
এদিকে কঙ্গোর মানবাধিকার কর্মী জাস্টিন অসুমানি বলেছেন, বুধবার স্থানীয় সময় বেলা দুইটার দিকে আচমকা অবৈধ খনিটি ধসে পড়ে। মূলত এতেই অনেক লোক হতাহত হয়। ধসে পড়ার সময় খনিটিতে গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ কর্মরত অবস্থায় ছিল। যাদের মধ্যে অনেকেই এখনো সেখানে আটকে আছেন।
অপর দিকে মানিয়েমা প্রদেশে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা স্টিফেন কামুনডালা ‘রয়টার্স’কে বলেন, ধসে পড়া খনিটির অভ্যন্তরে এখনো বহু শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন। বর্তমানে যাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, হীরা, কপার ও সোনার মতো প্রাকৃতিক খনি দেশটিকে বর্তমানে আফ্রিকার অন্যতম ধনী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। যদিও এর অধিকাংশ নাগরিকেরা এখনো রয়ে গেছে দারিদ্র সীমার নিচে। দেশটির অবৈধ এসব খনিগুলোতে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের জুনে স্থানীয় লুয়ালাবা প্রদেশে একটি কপার ও কোবাল্ট খনি ধসের ঘটনা ঘটে। যাদের মধ্যে ৩৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
-এএ