আওয়ার ইসলাম: ভারতের ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন (এনআরসি) দেশ থেকে মুসলিমদের হটাতেই করা হয়েছে। অমিত শাহ এর বক্তব্যের পর এটা আর অস্পষ্ট থাকে না।
আজ বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এর সেক্রেটারি মুফাক্কারে ইসলাম আমিরে শরিয়ত হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালি রাহমানি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভারতের জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনের (এনপিআর) পরে, এনআরসি মামলাটি কেবল মুসলমানদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর কথোপকথের পর এ সন্দেহ আরো স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন আরো কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।
বাংলাদেশেও কোনো মুসলিমকে যেতে দেয়া হবে না। আর কোনো হিন্দু শরনার্থীকেও ভারত থেকে কোথাও যেতে হবে না। সেজন্যই এনআরসির মত এসমস্ত কার্যক্রম চালু করছে ভারত।
অমিত শাহ বলেছেন, এনআরসি সারা বিশ্বজুড়ে প্রযোজ্য, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটা কথা। অমিত শাহ বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এনআরসি কোনও নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হবে না’ এটাও তার একটি মিথ্যা কথা।
এনআরসি বিষয়ে নাগরিকত্ব বিল সংসদের শেষ অধিবেশনটিতে প্রবর্তিত হয়েছিল। এতে পুরো স্পষ্টতার সাথে লেখা আছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, জেনিস এবং বৌদ্ধরা ভারতে বাস করতে পারবে।
তাদেরকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সংসদে উপস্থাপিত বিলে কোথাও মুসলমানের কথা উল্লেখ নেই।
অর্থাৎ মুসলমানরা যদি এনআরসি থেকে বাদ পড়ে যায় তবে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব থাকবে না।
অমিত শাহ আরো বলেন, কোনভাবেই বাঁচতে দেওয়া হবে না। ভারত থেকে বিদায় নেওয়া সহজ নয়, মুসলমানদের একটি শিবিরে (অস্থায়ী কারাগারে) রাখা হবে। বছরের পর বছর ধরে দেশের বাসিন্দারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এ বিষয়ে মাওলানা ওয়ালি রহমান আরো অনেক কথা বলেন।
বাসিরাত অনলাইন অবলম্বনে আবদুল্লাহ তামিম