আওয়ার ইসলাম: ভোলায় বিতর্কিত আহলে হাদিসের কামরুল ইসলাম অনুসারীদের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় ১৯ জন ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ভোলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান ভোলা সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আলী হায়দার মো. কামাল।
এদিকে, ভোলায় তথাকথিত আহলে হাদিসের নামে ভন্ডামি ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি ভন্ড কামরুলের দ্বায়ের করা মিথ্যা মামলায় ১৯ জন মুসল্লির জামিন নামঞ্জুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে মুসল্লিরা।
বুধবার সকাল ১১টায় মিথ্যা মামলায় আটক হওয়া মুসল্লিদের মুক্তির দাবিতে ভোলা সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে ঈমান আকিদা সংরক্ষন কমিটি ভোলা জেলা শাখা। মিছিলটি ভোলা জজ আদালতের সামনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে ভোলা জজ আদালতের আশেপাশের এলাকা অচল করে দেয় মুসল্লিরা।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে বক্তব্য রাখেন ঈমান আক্বিদ্বা সংরক্ষন কমিটি ভোলা জেলা সভাপতি মাওলানা বশির উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মাওলানা তাজউদ্দিন ফারুকি, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা ইয়াকুব আলি ,সমাজ কল্যান সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, সদস্য মাওলানা গোলাম মোর্শেদ, মাওলানা সামসুদ্দিন, মাওলানা ইব্রাহিম প্রমুখ।
এ সময় তারা আটককৃত মুসল্লিদের নিঃশর্ত্ব মুক্তির দাবি করে বলেন, আহলে হাদিস নামধারী কামরুল ইসলাম বাবুল ধর্মের নামে সমাজে বিভিন্ন ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করেছে। কামরুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতিপুর্বে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলীপি প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ তার দ্বায়ের করা মিথ্যা মামলায় ১৯ জন নিরীহ মুসল্লির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগরে পাঠানো হয়েছে।
এসময় বক্তারা ভোলার শান্তি রক্ষার্থে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি কামরুলকে গ্রেফতার এবং মুসল্লিদের মুক্তির দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ভোলা অচল করে দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করেন।
এদিকে রাস্তা অবোরোধের ফলে যানযট ও জনসাধারনের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। জনসাধারনের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ১টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই ২০১৮ তারিখে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে আহলে হাদিস সমর্থকদের মসজিদ ভাঙচুরের অভিযোগে নুরই আলম নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, বিতর্কিত আহলে হাদিস ইসলাম ধর্মকে বিতর্কিত করে চলেছে অনেক দিন আগ থেকে। তারা এখন নিজেদের ইচ্ছে মতো ধর্মীয় ফতোয়া বা নিয়ম তৈরি করছে। তা নিয়ে এলাকার কয়েক জনের সাথে মতানৈক্য হয়। পরে আহলে হাদিস এক মিথ্যে মামলা দায়ের করেন। তাদের সাথে বিভিন্ন ইসলাম ধর্মীয় অনুশাষন বিরোধী চক্র একত্রিত হয়ে ভোলাতে একটি অশান্ত ধর্মীয় পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এর ফলে তারা বিভিন্নভাবে ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন কার্যকালাপ করেও সমাজে তাদের একটি ভিত করার চেষ্টা করে।
আরএম/