আওয়ার ইসলাম: বয়োবৃদ্ধা এক মুসলিম নারীর বাড়ির বাগানে সার্বিয়ার এক নাগরিক কতৃক অবৈধভাবে গির্জা নির্মাণের অভিযোগে তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ইউরোপীয় একটি আদালত।
আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় ১৯৯২-১৯৯৫ সালে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৭৭ বছর বয়সী নারী ফাতা অলিভিচকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পর ওই গির্জা নির্মাণ করা হয়।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইয়ানি শাফাক জানায়, আগামী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে গির্জা ভাঙার নির্দেশ বাস্তবায়নের সময় বেধে দিয়েছে আদালত।
খবরে আরও বলা হয়, ফাতা অলিভিচ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার যুদ্ধকালীন সময় পর্যন্ত দেশটির শ্রাব্রিনিসা উপশহরে স্বামী এবং সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। ১৯৯৫ সালে এ অঞ্চলে ঘটে যাওয়া গণহত্যা তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন। এ যুদ্ধে স্বামী সাজির অলিভিচসহ অন্তত ২২ জন নিকটাত্মীয়কে হারান তিনি। আর এসময় তাকে বাপদাদাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
অনেক ঘটনার পর ১৯৯৯ সালে যুদ্ধ শেষে যখন তিনি আবার নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন তখন বাড়ির বাগানে নবনির্মিত একটি গির্জা দেখতে পান-যা তারই জায়গায় তাকে না জানিয়ে এক সার্বিয়ান অবৈধভাবে নির্মাণ করেছে।
এরপর ফাতা অলিভিচ নিজ জমিন থেকে গির্জা অপসারণের জন্য আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং আদালতের দ্বারস্থ হন। এসময় গির্জা-কতৃপক্ষ তাকে জমিনের মূল্য পরিশোধ করার কথা জানালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। অবশেষে আদালতের মাধ্যমে তিনি নিজ জায়গাটুকু আবার ফিরে পেলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯২-১৯৯৫ সালে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় বসবাসরত মুসলমানদের উপর ব্যাপক গণহত্যা চালায় সার্বিয়া। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ যুদ্ধে অন্তত তিন লক্ষাধিক মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করে সার্বিয় বাহিনী।
ইয়ানি শাফাক ও আল আরাবিয়া অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইন
আরএম/