আওয়ার ইসলাম: ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ আইনের খসড়া বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পর পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ৷
গত সোমবার রাতে জাকার্তায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার তাদের আটক করা হয়।
জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র আরগো ইউউনো এএফপিকে বলেন, গতকালের বিক্ষোভ থেকে এ পর্যন্ত আমরা ৫১৯ জন দাঙ্গাকারীকে আটক করেছি৷ তারা শিক্ষার্থী কিনা, এটা নিশ্চিত হতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র দেদি প্রসেতিওর বরাতে জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর পুলিশ ৬৪৯ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে৷
নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক পরস্পরের সম্মতিতে হলেও সেটা দণ্ডনীয়৷ এজন্য দেয়া হতে পারে এক বছরের কারাদণ্ড৷
এছাড়া বিয়ে না করে একসঙ্গে বসবাসের অপরাধেও দেয়া যাবে ছয় মাসের জেল৷ মেডিকেল ইমার্জেন্সি অর্থাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাধ্য না হলে বা ধর্ষণের ফলে গর্ভধারণ না করলে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার কথাও রয়েছে প্রস্তাবিত আইনে৷
এছাড়াও প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের মতো প্রতীককে অসম্মান, কটূক্তি বা অপমানসূচক যেকোনো কর্মকাণ্ডের জন্যও রাখা হয়েছে শাস্তির বিধান৷
প্রস্তাবিত আইনে দেশটির দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্থাকে ইচ্ছে করে দুর্বল করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন বিক্ষোভকারীরা৷ তাদের মতে, এসব আইন পাস হলে ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে৷
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে যৌনতা নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে নতুন বিধিবিধান যুক্ত করে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে দেশটির সরকার৷
এ খসড়া বাতিলের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটির বিভিন্ন শহরে আন্দোলন শুরু হয়েছে৷ আন্দোলনে দুইজন শিক্ষার্থী নিহত এবং কয়েকশ' মানুষ আহত হয়েছে৷
১৯৯৮ সালে সুহার্তোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর এবারের এই বিক্ষোভকে অন্যতম বড় আন্দোলন হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ইসলামি শরিয়া আইন চালু থাকলেও অন্যান্য অঞ্চলে স্বাধীনতার পর থেকেই চালু রয়েছে সেক্যুলার আইন৷ ডয়েচে বেল
-এটি