আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে, তার প্রতিষ্ঠানে বোরকা কিংবা হিজাবকে নিষিদ্ধ করে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পরের দিন আরেক অফিস আদেশে তিনি বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেন।
জানা গেছে, পরিচালকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে দিয়ে বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধের আদেশ জারি করা হয়েছিল। এ নিয়ে মেডিকেল কলেজের পরিচালক, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, মালিকপক্ষ হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে অসদাচরণ করে। কর্তৃপক্ষের অন্যায় আচরণে আহত হয়ে পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম পদত্যাগ করেন।
জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘ড্রেসকোড সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি’ নামে একটি নোটিশ জারি করে। এতে ছেলেদের ক্ষেত্রে হাফহাতা শার্ট, গেঞ্জি,পাঞ্জাবি,জিন্স প্যান্ট, সেন্ডেল ও ময়লাযুক্ত/তিলা পরা পোশাক এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বোরকা, হিজাব, শাড়ির ওড়না, প্লাজু, স্কাট পরিধান করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়।
বিতর্কিত এ ড্রেসকোড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশেষত মেয়েদের বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধের ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি খোদ হাসপাতালের পরিচালকই।
হাসপাতাল কর্তপক্ষের কাছে করা এক আবেদনে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি চান পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম।
রোববার অব্যাহতি পত্রে তিনি লিখেন- ‘গত ২৪/০৯/১৯ইং তারিখে চেয়ারম্যান মহোদয় স্বাক্ষরিত প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে অত্র হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ড্রেসকোড সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি আমার অজান্তে বাস্তবায়নের জন্য আদিষ্ট হলে আমি বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করি।’
‘ওই বিজ্ঞপ্তিটি জারি হলে তা সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় আমি ব্যক্তিগত, সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হই। বিষয়টি ধর্মীয় অনুভূতিতেও নাড়া দেয়, যা আমি একজন মুসলিম হিসেবে মেনে নিতে পারছি না।’
আরএম/