আওয়ার ইসলাম: রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে মহানগর পুলিশের (আরএমপি) পক্ষ থেকে ২২টি শর্ত জুড়ে দিয়ে রাস্তায় সমাবেশ করতে বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবিতে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দলটি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠের পূর্বের প্রশস্থ রাস্তাটি সমাবেশ স্থল হিসেবে ব্যবহার করবে।
রাজশাহী বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক নয়টি জেলার ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সমাবেশে অংশ নেবে।
দুপুর আড়াইটায় আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির সহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী।
২৯ জুলাই সমাবেশ করতে চায় দলটি। তবে পুলিশি বাঁধার অভিযোগ ও দেশের বণ্যা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে দলটির পক্ষ থেকে সেই সমাবেশ বাতিল করা হয়।
সমাবেশ করতে আরএমপির দেওয়া ২২টি শর্তের মধ্যে রয়েছে, ধর্ম ও রাষ্ট্র বিরোর্ধী কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না, কোনো যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে নিয়ে সমাবেশ করা যাবে না, সমাবেশে কোনো প্রকার লাঠি বা অস্ত্র নিয়ে আসা যাবে না। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দিষ্ট এলাকায় সুশৃঙ্খল ভাবে সমাবেশ করতে হবে।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে রবিবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর বিএনপি। শনিবার বেলা ১১টায় নগরীর মালোপাড়ায় অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, কোনো বাধাই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না। অনুমতি না দিলেও মাদ্রাসা মাঠেই বিভাগীয় সমাবেশ করা হবে।
এই সমাবেশ খালেদা জিয়া ও দেশের জনগণের মুক্তির সমাবেশ। চলতি মাসের ১২ তারিখ মাদ্রাসা মাঠে বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য প্রশাসনে আবেদন করা হয়। কিন্তু প্রশাসন আবেদন নাকচ করে দেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডাভোকট শাহিন শওকত, কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডাভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
-এটি