আওয়ার ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পাঁয়তারায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হক আজাদ ।
তিনি বলেছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশে নতুন করে সংকট সৃষ্টি করবে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চর্চা নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্ত এ দেশের ধর্মপ্রাণ জনতা কখনও মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ। অবৈধ ছাত্রদের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ঢাকসু এ সিদ্ধান্ত নেয়ারই কোনো এখতিয়ার রাখে না। অবিলম্বে এই অবৈধ ঢাকসু ভেঙ্গে দিতে হবে। ঢাকসুর ধর্মবিরোধী সিদ্ধান্ত উস্কানিমূলক, যা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করেছে।
শনিবার বিকালে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলনের মজলিসে আমেলার এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকুসর সভাপতি ভিসি একজন মেরুদণ্ডহীন ও বিতর্কিত ব্যক্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার যোগ্যতা তার নেই। ভিসি নাস্তিক্যবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অপরিনামদর্শি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আমিনুল ইসলাম ও মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুফতি সৈয়দ নূরুল করীম, আলহাজ্ আব্দুর রহমান, মাওলানা নেছার উদ্দিন, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, ইঞ্জিনিয়ার শরীফুল ইসলাম তালুকদার, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, বরকত উল্লাহ লতিফ, জি এম রুহুল আমীন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট একেএম এরফান খান প্রমুখ।
আরএম/