শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


'ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে ডাকসুর সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ও অনাধিকার চর্চা'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ডাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থরক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত পরিবেশে বহুমত-পথের মিথস্কিয়ায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার একটি প্রতিষ্ঠান। তিন দশক পরে কলংকিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃবৃন্দ এই ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানটিকে কলংকিত করছে। ক্যাপাসে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পাশ করে ডাকসু একটি অসাংবিধানিক ও অধিকার বহির্ভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্যাম্পাসে কে কোন মত ও পথের রাজনীতি করবে তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার ডাকসু রাখে না।

শুক্রবার প্রেসক্লাবের সামনে ডাকসু’র বৈঠকে ঢাবিতে ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ এসব কথা বলেন।

সমাবেশে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, মুক্ত চিন্তার সূতিকাগার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের মতো সর্ববাদি আদর্শভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা একটি স্বৈরাচার মূলক আচরণ। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, স্বৈরাচার বিরোধী গৌরবময় অতীত সমৃদ্ধ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডাকসু নিজেই স্বৈরাচারী আচরণ করছে। তিনি ডাকসু নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ম ও ইসলাম বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও অনুভূতির সাথে সম্পৃক্ত। মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করে ডাকসুর মতো একটি সর্বজন সমন্বিত প্রতিষ্ঠানকে কলংকিত করবেন না।

ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াছ হাসান বলেন, ডাকসুর অধিকাংশ দায়িত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ রয়েছে। ছাত্রলীগের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর অবস্থানও ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে নয়। সেখানে ডাকসুতে কারা ধর্মীয় রাজনীতির বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নেয় তা খতিয়ে দেখতে হবে।

ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহা. আব্দুল জলিল বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ইসলামভিত্তিক রাজনীতি করে। ধর্মকে পূঁজি করে নয় বরং ধর্মীয় দিক নির্দেশনায় রাজনীতি করে। আমাদের রাজনীতি কোনো সম্প্রদায়কে নিয়ে নয় বরং ঐক্যবদ্ধ অন্তর্ভূক্তি ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি করে। সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে আমরা অসম্প্রদায়িক, শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও ইসলামের আলোকে গঠনমূলক রাজনীতি করি।

সমাবেশে বক্তারা হুশিয়ার করে বলেন, কোনো ছলচাতুরি করে যদি ক্যাম্পাসে ইসলামী রাজনীতির বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাহলে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে ও আইনগতভাবে প্রতিহত করবে।

সংগঠনের প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন-এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গণী, আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, ঢাবি শাখা সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি মাহদী হাসান, দক্ষিণ সভাপতি আল আমিন সিদ্দিকী, পশ্চিম সভাপতি মনোয়ার হোসাইন, উত্তর সাধারণ সম্পাদক মুহা. আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ