আওয়ার ইসলাম: বাস্তু হারা রােহিঙ্গাদের নিজ ভূমি রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযােগিতার যে প্রতিশ্রুতি মিয়ানমার দিযেছিল তা রক্ষায় দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি সহযােগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ড. ইউসুফ।
বিন আহমাদ আল ওথাইমিন। সেই সঙ্গে মহাসচিব ১১ লাখের অধিক রােহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশকে এ বিষয়ে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা ইউএনবি জানায়, ওআইসি মহাসচিব সব নাগরিককে বৈষম্যহীনভাবে সুরক্ষা দিতে এবং মানবাধিকার বিষয়ক সব আন্তর্জাতিক চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে চলার জন্য নিজেদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলে ওআইসি সদরদপ্তর জানিয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মহাসচিব ওথাইমিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সভায় যােগ দেন এবং রােহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করেন।
রােহিঙ্গাদের আশ্রয়দান ও সুরক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের প্রচেষ্টা এবং রােহিঙ্গাদের অধিকার আদায় বিষয়ে বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান ওথাইমিন।
ওআইসি মহাসচিব রােহিঙ্গাদের জন্য সৌদি আরবের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের জন্য সমর্থন আদাযে কথা বলেন। তিনি রােহিঙ্গাদের প্রয়ােজন পূরণে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইব্রাহিম আল আসাফের ১ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান ঘােষণার প্রশংসা করেন বলে ওআইসি জানিয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সৌদি আরব আযােজিত এ সভা সম্পর্কে ওআইসি মহাসচিব বলেন, মিয়ানমারের রােহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুরা যে ‘হৃদয়বিদারক দুঃখ পােহাচ্ছে তা নিয়ে আলােচনা করতে তাঁরা এখানে জড়াে হয়েছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার রােহিঙ্গাদের বিশাল অংশকে জীবন বাঁচানাের জন্য তাদের বাড়ি থেকে প্রতিবেশী দেশ বা অন্যান্য দূরের জায়গায় পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
রােহিঙ্গা সংকট বিষযে ওআইসির নেওয়া প্রচেষ্টাগুলাে পর্যালােচনা করেন ওথাইমিন। যার মধ্যে রয়েছে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে একাধিক প্রচারাভিযান ও রােহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য দেওয়া।
উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, রােহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ২০১২ সালে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যাযে নিরলস প্রচেষ্টা নেওয়া হযেছিল।
-এটি