আওয়ার ইসলাম: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের কালিয়াকুটা হাওরে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
আজ বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।
সকালে যে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- দিরাই উপজেলার পেরুয়া গ্রামের নসিবুল্লাহর স্ত্রী কারিমা বিবি (৭০), গতকাল উদ্ধার মৃত সোহানের মা আজিরুননেসা (২৫), মাছিমপুর গ্রামের বাসদ মিয়ার শিশুকন্যা শান্তা (৩), একই গ্রামের গ্রামের আয়াজ আলীর স্ত্রী রহিতুন্নেসা (৩৫) এবং নোয়ারচর গ্রামের আফজাল আলীর ছেলে আসাদ (৫)।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রাম থেকে ফিরোজ মিয়া পরিবারের লোকজন নিয়ে রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে যান। বিকেলে সেখান থেকে সেখানকার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ২৬ জন যাত্রীসহ ইঞ্জিনচালিত নৌকা কালিয়াকুটা হাওরের আইনুল বিলের পাশে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
খবর পেয়ে এলাকাবাসী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে জীবিত ও চার শিশুর লাশ উদ্ধার করে। এরা হলো মাছিমপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম (২) ও বদরুল মিয়ার ছেলে আবির (৩), পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সিফাতুল (২) এবং নোয়ারচর গ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে সোহান (৩)।
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন মাছিমপুর গ্রামের আরজ আলীর মেয়ে তাসমিনা বেগম (১১)।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, সকালে আরো পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ এলাাকাবাসীর সমন্বয়ে বাকি একজনকে উদ্ধারে কাজ চলছে।
-এএ