আওয়ার ইসলাম: স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনায় ইন্টারনেটের ওয়্যারলেস ফাইভজি সংযোগ বন্ধ করার দাবি নিয়ে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার সুইস নাগরিক।
গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুইস পার্লামেন্ট ভবনের সামনে প্লাকার্ড নিয়ে জড়ো হন তারা। খবর এএফপির।
ফ্রিকুয়েন্সিয়া নামের একটি গ্রুপ এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। এই গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্যামলিন স্কিবলার জানান, আজকের এই জমায়েতে যে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে অনিয়ন্ত্রিত ফাইভজি সংযোগের বিরুদ্ধে মানুষের অবস্থান অত্যন্ত শক্ত।
এর আগে, ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে মোনাকো গত জুলাইয়ে মোবাইল নেটওয়ার্কে ফাইভজি সুবিধা চালু করে। মোনাকোকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে চায়না কোম্পানি হুয়াই। যুক্তরাষ্ট্রের মতে এটি ছিল খুব ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডে ফাইভজি সংযোগ দেওয়ার ফলে সেখান থেকে যে বিদ্যুতচুম্বকীয় বিকিরণ (ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েসন) হচ্ছে তা প্রাণি স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যে হুমকি। আগের প্রজন্মের ইন্টারনেট সংযোগ গুলো এরকম বিপজ্জনক ছিল না।
এদিকে জেনেভা, ভাউড, ফ্রিবার্গ, নিউকাটেলে ফাইভজি এন্টেনা ও অবকাঠামো তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে অনলাইন পিটিসন খোলা হয়েছে।
এক লাখ নাগরিক এই পিটিসনে স্বাক্ষর করলে ফাইভজি কার্যক্রম বন্ধের জন্য গণভোট আয়োজনের চাপ দিতে পারবে আন্দোলনকারীরা।
সুইস চিকিৎসকদের সংগঠন এফএমএইচের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবশ্যই এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
সুইস কর্তৃপক্ষ এএফপিকে জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে, সুইজারল্যান্ডে ফাইভজি সুবিধা চালু করতে তিনটি প্রধান অপারেটর সুইসকম, সানরাইজ ও সাল্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জুলাইয়ের মধ্যেই সুইজারল্যান্ডজুড়ে ৩৩৪টি এন্টেনা স্টেশন তৈরি করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইসও) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফাইভজির মতো একটি জটিল প্রযুক্তি চালানোর জন্য অবশ্যই আগে থেকে স্বাস্থ্য জরিপ, ঝুঁকি অধ্যয়ন করে নেওয়া দরকার।
-এটি