মিসরের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির পদত্যাগের দাবিতে গড়ে ওঠা টানা দ্বিতীয়দিনের বিক্ষোভ সংঘর্ষে মোড় নিয়েছে। দেশটির বন্দরনগরী সুয়েজ ও তাহরির স্কয়ারে শত শত বিক্ষোভকারীর সঙ্গে দেশটির আইনশঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষে কয়েকডজন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও আগুনের গোলা নিক্ষেপ করেছে।
সিসির শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে দেশটির হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে ক্রমান্বয়ে সহিংস হয়ে উঠছে। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দমনপীড়ন, কারাবন্দি ও প্রতিবাদ কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন সাবেক এই সেনাপ্রধান।
সুয়েজের এক বিক্ষোভকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, টানা দ্বিতীয় রাতের মতো শহরের রাস্তায় শত শত মানুষ বিক্ষোভ করছেন। শহরের প্রবেশ পথে নিরাপত্তাবাহিনী বেষ্টনী তৈরি করে বিক্ষোভকারীদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। তারা টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও গোলা বর্ষণ করেছে। এতে আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন।
টিয়ার গ্যাসের ঝাঁঝ শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরের বাসা বাড়িতে পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে সুয়েজের অপর এক নারী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই নারী বলেছেন, আমার নাক প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া করছিল। বাসার ব্যালকনি থেকেও এর ঝাঁঝ পাওয়া গেছে। আমি দেখেছি অনেক তরুণ-তরুণী রাস্তা থেকে দৌঁড়ে পালাচ্ছেন। আবার অনেকেই গোপন কোনো স্থানে নিজেকে লুকিয়ে ফেলছেন।
২০১১ সালে দেশটিতে গড়ে ওঠা বিক্ষোভ দানা বাঁধলে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সেই সময় মিসর বিক্ষোভের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল কায়রোর তাহরির স্কয়ার। এবারও তাহরির স্কয়ারে অবস্থান নিয়ে প্রেসিডেন্ট সিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু সোমবার সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।