আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, এফডিআর, মাদক ও অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে পালাতে চেয়েছিলেন। যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পরদিনই দেশ ছাড়ার সহযোগিতা চেয়ে ঘনিষ্টজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
জানা যায়, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর জি কে শামীম দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেন। কিন্তু গোয়েন্দা টিমের হাতে আগে থেকেই এ তথ্য থাকায় তার ওপর নজর রাখা হচ্ছিলো। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কি করছেন সবকিছুই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে ছিলো।
শামীম যেনো কোনভাবেই দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য বিমানবন্দরের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিশেষ বার্তা পাঠায় র্যাবের গোয়েন্দা টিম। শামীম ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন নেতার নাম আছে সে তালিকায়। তারা যেন কোনভাবেই দেশত্যাগ করতে না পারে সে ব্যাপারেও নজরদারি চালাচ্ছে র্যাব।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, দেশ ত্যাগের সুযোগ খুঁজতে শুক্রবারও নিকেতনে তার কার্যালয় খোলা রাখেন শামীম। বিষয়টি টের পেয়ে ওই দিনই তার বাসা ও কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব সদস্যরা। এ সময় অস্ত্রধারী সাত দেহরক্ষীসহ শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণে নগদ অর্থ, প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, মাদক ও অস্ত্র। পরে শনিবার বিকালে গুলশান থানায় মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনের তিন মামলায় তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
-এএ