আওয়ার ইসলাম: জি কে শামীম একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি সরকারের বহু প্রজেক্টে কাজ করছেন। তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফাঁসানো হয়েছে। তাই ঠিকাদার জি কে শামীমের রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করছি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি চলার সময় এসব কথা বলেন শামীমের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান হাওলাদার।
আব্দুর রহমান হাওলাদার শুনানিতে বলেন, তিনি (শামীম) রাজনৈতিকভাবে ফেঁসে গেছেন। যে অস্ত্র পাওয়া গেছে, সেগুলো তার বৈধ অস্ত্র। তিনি এগুলো অবৈধ কাজে ব্যবহার করেন না। জি কে শামীমের কাছ থেকে যে টাকা পাওয়া গেছে সেগুলোও বৈধ। তিনি পঙ্গু হাসপাতালসহ কয়েকটি প্রজেক্টে কাজ করছেন। ৫০০ লোক কাজ করলে প্রতিদিন তাদের পারিশ্রমিক দেয়া লাগে। এ জনই তিনি তার প্রতিষ্ঠানে এভাবে নগদ টাকা রেখেছেন। তাই আসামি জি কে শামীমের জামিনের আবেদন করছি।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, জি কে শামীম অস্ত্র ব্যবহার করে টেন্ডারবাজি ও গরুর হাটে চাঁদাবাজি করতেন। তার দেহরক্ষীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করত। তার সব দেহরক্ষীই নিজস্ব, সরকারি অনুমতিতে রাখা হয়নি। একজন মন্ত্রীও এত দেহরক্ষী রাখেন না। শামীম দেহরক্ষী দেখিয়ে টেন্ডারবাজি করেন। আর তিনি দেশের একমাত্র ঠিকাদার না যে সব কাজ তিনিই পাবেন। প্রভাব খাটিয়ে তার দেহরক্ষীরা অস্ত্র দেখিয়ে টেন্ডারবাজি করতেন। তাই তাকে ও তার দেহরক্ষীদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
পরে আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে শামীমের ৭ দেহরক্ষীরও ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
এর আগে সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে শামীমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে র্যাব। অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় সেখান থেকে বিদেশি মুদ্রা, মদ, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক, নগদ অর্থ, ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করা হয়।
-এএ