শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আইনজীবী আলিফ হত্যায় কাউকে ছাড় নয়: ধর্ম উপদেষ্টা শীতে কাপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি কাদের মির্জার শ্যালক চট্টগ্রামে গ্রেফতার আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা এত ভয়াবহ অনেকেই তা বলতে চায় না: নাহিদ চিন্ময়সহ ১৭ ইসকন সদস্যের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের নির্দেশ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা

সিসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল মিশর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: উত্তর আফ্রিকার দেশ মিশরের স্বৈরশাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির আচমকা পদত্যাগের দাবিতে সড়কে নেমেছে হাজারো বিক্ষোভকারী। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল থেকে দেশটির বিভিন্ন শহরের রাজপথ দখলে নেয় জনতা।

এ সময় আন্দোলনরত লোকজন 'ভয় নয়, জেগে উঠো, সিসি হটাও, দেশ বাঁচাও' প্রভৃতি স্লোগানে রাজপথ কাঁপিয়ে তোলেন। এ দিন রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ার ছাড়াও আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজের মতো বৃহৎ বৃহৎ শহরগুলোতেও জনবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা 'রয়টার্স' জানায়, তাহরির স্কয়ার প্রাঙ্গণে উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালায় সাদা পোশাকে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা। এ সময় ব্যাপক ধরপাকড়ের পাশাপাশি আন্দোলনরতদের ওপর একের পর এক টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। বিক্ষোভের তীব্রতায় বন্ধ করে দেওয়া হয় আশপাশের সব দোকানপাট।

সম্প্রতি স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জীবনে থাকা মিশরীয় ব্যবসায়ী ও অভিনয় শিল্পী মোহাম্মদ আলীর এক আহ্বানের পর ধীরে ধীরে সড়কে নেমে আসতে শুরু করে মিশরীয় জনগণ। যেখানে তিনি স্বৈরশাসক সিসির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ এনে জনগণকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়াতে পাঠানো এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ আলী বলেন, 'মিশরের সাধারণ মানুষজন যেখানে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত সেখানেই সিসি ও তার কর্মকর্তারা বেসামরিকদের বিপুল অংকের অর্থ অপচয় করে দেখাচ্ছে। সিসি যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা না দেন, তাহলে আগামী শুক্রবার মিশরের সর্বস্তরের জনগণ রাজপথে নেমে আসবে। যা আর কখনোই দমানো যাবে না।'

যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনীত সকল দুর্নীতির অভিযোগকে এরই মধ্যে 'মিথ্যাচার' বলে আখ্যায়িত করেছেন জেনারেল সিসি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'আমি সব সময় জনগণের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও তা একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে; এখন সময় এসেছে আমার সরকারের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগকে 'মিথ্যাচার' হিসেবে প্রমাণ করার।'

বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর জেনারেল সিসি সরকারের বিরুদ্ধে মিশরে এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ। যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

এর আগে ২০১২ সালের ৩০ জুন মিশরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন মুসলিম ব্রাদারহুড জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ মুরসি। যদিও এর প্রায় বছর খানেকের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই ব্যাপক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুরসিকে অপসারণের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতায় বসেন বিশ্বব্যাপী স্বৈরশাসক হিসেবে পরিচিত সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি।

যেখানে সেই অভ্যুত্থানে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ও মুসলিম অধ্যুষিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো। তবে এর প্রতিবাদে মুরসি সমর্থকরা সড়কে নামলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ব্রাদারহুডের প্রায় হাজার খানেকের অধিক নেতাকর্মীকে প্রাণ হারাতে হয়। তাছাড়া সরকারিভাবে বিবৃতি পাঠিয়ে মুরসি সমর্থকদের 'সন্ত্রাসী' হিসেবে আখ্যায়িত করে জেনারেল সিসিকে সমর্থন জানায় সৌদি আরব।


সম্পর্কিত খবর