আওয়ার ইসলাম: বেসরকারি এক টেলিভিশনের টকশোতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা এস কে সাদি স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে দুদু বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ডিবিসি টিভিতে রাজকাহন নামে একটি টকশোতে আমরা কয়েকজন উপস্থিত ছিলাম। সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম সারোয়ার মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল এবং আমি। একজন উপস্থাপিকা ছিলেন এ মুহূর্তের নাম মনে পড়ছে না। ওই অনুষ্ঠানে আমার বক্তব্যকে খন্ডিতভাবে উপস্থাপন করে ফেসবুকে দেয়ার প্রেক্ষিতে একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যা অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক। সেই বক্তব্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের যেভাবে পতন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেইভাবে পতন হবে’ এ বক্তব্য সঠিক নয়।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক ভিন্নতা আছে এটা সত্য। তাই বলে আমার ছাত্র জীবন থেকে বিএনপির সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্থান, সুদীর্ঘ একটি রাজনৈতিক পরিচিতি আছে। যা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ। আমি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পাশাপাশি ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছি, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি দীর্ঘ নয় বৎসর। সেই আন্দোলনে রাজপথে ছাত্রলীগের অনেক বন্ধু আমার পাশাপাশি ছিলেন। তাদের সঙ্গে এখনো আমার সখ্যতা আছে।
দুদু আরও বলেন, ওই অনুষ্ঠানে একাধিকবার আমি বলেছি একটি সরকারের পতন দুইভাবে হয়, ১. নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২. গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের বাইরে আর কিছু করেছি তার নজির নাই। ওই টকশোতে আমার বক্তব্য আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগসহ কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। হয়তো এমন হতে পারে আমি যা বলতে চেয়েছি তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি নাই, এটা আমার ব্যর্থতা।
-এএ