শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বাংলাদেশে ক্লাব হাউজি থেকে ক্যাসিনো: কী বলছেন আলেমরা?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
প্রতিবেদক

ইসলাম জুয়াকে আরবিতে ‘আল-কিমার’ ও আল-মায়সির’ বলা হয়। এমন খেলাকে ‘আল-কিমার’ ও আল-মায়সির’ বলা হয়, যা লাভ ও ক্ষতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে। অর্থাৎ যার মধ্যে লাভ বা ক্ষতি কোনোটাই স্পষ্ট নয়। ইসলামের আবির্ভাবের আগে ও নবী করিম সা.-এর আগমনের সময় তৎকালীন মক্কায় নানা ধরনের জুয়ার প্রচলন ছিল। তিনি সবগুলোকে নিষিদ্ধ করেছেন। জুয়া একটি হারাম খেলা-এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনেও সুস্পষ্ট বর্ণনা এসেছে।

সম্প্রতি ‘ক্যাসিনো-তত্ত্ব’কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে জুয়া শব্দটি নতুনভাবে আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশে জুয়া-বাজি, ক্লাব হাউজি ইত্যাদি সরকার-কর্তৃক নিষিদ্ধ। সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যক্তি জুয়ার আসর জমিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রে জুয়ার জমজমাট আসরের খবর সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় আইনশৃখ্ঙলা বাহিনী ও দেশের সাধারণ জনগণ বেশ চিন্তিত। বলা বাহুল্য, মদ-জুয়া জাতীয় সবকিছু সামাজিক, পারিবারিক, আর্থিক ও নৈতিক সঙ্কট তৈরি করে।মানুষকে বহুবিধ ক্ষতির সম্মুখীন করে। জুয়ার এ মহামারি থেকে উত্তোরণ কোন পথে?

এ মহামারি নিয়ে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সঙ্গে কথা বলেছেন চট্টগ্রাম ওমরগনি এম,ই,এস কলেজের সাবেক অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান লেখক ও গবেষক মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ ও মারকাজুত তারবিয়াহ বাংলাদেশের মুহতামিম মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী।

ড. আ ফ ম খালিদের মতে, জুয়া ও ক্যাসিনো শুরু থেকে বন্ধ না করা গেলে যুব সমাজের অধঃপতন অবধারিত।

তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধান চালালে হয়তো প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ক্যাসিনোর সন্ধান মিলবে। আমাদের দেশে ইয়াবার ভয়াল থাবা বহু আগ থেকেই। মাদকের ছড়াছড়ি অলিতে গলিতে। এখন আবার নতুন করে ক্যাসিনোর আক্রমণ নিয়ে দেশের বোদ্ধামহল চিন্তিত।’

তিনি বলেন, ‘এ সময়কার যুবকদের সবচেয়ে আকৃষ্ট বস্তু হচ্ছে ক্যাসিনো। এটা আফিমের নেশার মত। কারণ এখানে একই সাথে তিন ধরনের চাহিদা মেটাতে পারছে তারা। জুয়া, মাদক ও নারী।’ সুতরাং এটাকে শুরু থেকে বন্ধ না করা গেলে যুব সমাজের অধঃপতন অবধারিত।’

‘দীর্ঘদিন পরে হলেও সরকার ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়েছে- এটা আমরা পজিটিভলি নিচ্ছি। আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তবে অভিযান যেন শুধুমাত্র লোক দেখানো না হয়, দু-তিনটা অভিযানে সীমাবদ্ধ না থাকে- এর জন্য আমি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’ যোগ করেন ড. খালিদ।

ক্যাসিনো মালিকদের আইনের আওতায় আনার সুপালিম করলেন প্রখ্যাত ওয়ায়েজ মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনে ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বসানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ক্যাসিনো রাষ্ট্রীয় আইনে নিষিদ্ধ। ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। পাশাপাশি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ সবকিছু ধ্বংসে ভয়াবহ ভূমিকা পালন করছে এটি। যারা আমেরিকা থেকে ক্যাসিনো আমদানি করে এদেশের মানুষের শান্তি বিনষ্ট করতে চায় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।’

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ