আওয়ার ইসলাম: ভারতের মোদি সরকারের কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে চড়-থাপ্পর দিয়ে ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখলো শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বিজেপির ছাত্রসংগঠন ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ’ আয়োজিত নবীনবরণ উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। তার সঙ্গে এ সময় বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও ছিলেন।
খবরে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাবুল সুপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তবে সেখানে তাকে ঢুকতে না দিয়ে অনুষ্ঠান হলের কাছে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকে ‘গো ব্যাক বাবুল সুপ্রিয়’।
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন, বাবুল সুপ্রিয়সহ বিজেপির কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না। বিক্ষোভ চরমে পৌঁছালে একদল শিক্ষার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তাকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। তার জামা ছিঁড়ে দেয়া হয়। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকেও অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়।
সুপ্রিয়কে ঘেরাও করা হয়েছে শুনে ঘটনাস্থলে আসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি তোলেন, পরবর্তী সময়ে বিজেপি বা তাদের কোনোও অঙ্গসংগঠনকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হবে না—এই মর্মে উপচার্যাকে ঘোষণা দিতে হবে।
পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলে উপাচার্য এ সংঘর্ষের মুখে পড়ে আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কাছের হাসপাতালে। সংঘর্ষে দুইজন শিক্ষার্থী বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আহত হন। তাদেরও হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আনন্দবাজার বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনখড়ের গাড়িতে দীর্ঘক্ষণ আটক থাকতে হয় প্রতিমন্ত্রীকে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৮টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে ওই গাড়িতেই ঘুরপথে বেরতে সক্ষম হন রাজ্যপাল ও প্রতিমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে রাজভবনে যান জগদীপ ধনখড়।
-এএ