আওয়ার ইসলাম: অবৈধ ক্যাসিনোর মালিক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয়ে বলেন, ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে সে ব্যাপারেও তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কে কতখানি জড়িত সেটা তো তদন্তের ব্যাপার। আমরা পেয়েছি মাত্র, এখন বিষয়টা দেখবো। ক্যাসিনো হোক কিংবা কোনো ক্লাব বা অন্য কিছু সেটা অবৈধভাবে চালালে সেটার বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নিবো। প্রশাসনের কোনো লোক যদি জড়িত থাকেন কিংবা এগুলোতে সহযোগিতা করে থাকেন কিংবা তাদের নিয়ন্ত্রণে এগুলো হয়ে থাকলে তিনিও আইন অনুযায়ী বিচারের মুখোমুখি হবেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে র্যাবের পাশাপাশি পুলিশও অভিযান চালাবে। জুয়ার আসরের সঙ্গে যাদেরই জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অবৈধ জুয়ার আড্ডা বা ক্যাসিনোগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোর একটা তালিকা দিতে বলেছিলাম। তারা কাজ করছে। গতকাল একটা জোন থেকে তালিকা পেয়েছি। আজও কিছু তালিকা পেয়েছি। র্যাব যেমন একটি অভিযান শুরু করেছে তেমনি আমাদের অবস্থানও একই রকম থাকবে। এই শহরে কোথাও অবৈধ ক্যাসিনো চলতে দিবো না।
এর আগে বুধবার রাজধানীর চারটি অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটকের পর ১৮২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
-এএ