আওয়ার ইসলাম: ভুয়া ভোটার ঠেকাতে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদে এখন এসএমএসভিত্তিক একবারের পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ব্যবহার করবে ইসি। যা দুটি ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণের একটি রূপ।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘রবিবার থেকে ওটিপি ছাড়া কোনো ল্যাপটপ আর ওপেন করতে পারবে না। থানা নির্বাচন অফিসারের কাছে ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি সে ইনসার্ট দেবে। যতবার সে ঢুকবে ততবার ওটিপির প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া আমাদের অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার সেটা কিন্তু আমরা নিয়েছি।’
সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সার্ভার ও ডেটা সেন্টারগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য ৫১৮টি উপজেলার সব সার্ভার এবং যতগুলো ল্যাপটপ আছে সেগুলোর পাসওয়ার্ড এবং যতগুলো সিকিউরিটি ফিচার ছিল সেগুলো বদলে দিয়েছি; এটা ইতিমধ্যে অ্যাক্টিভেটেড। জরুরি ভিত্তিতে চার দিনের প্রোগ্রাম নিয়ে আমরা সেটা পরিবর্তন করেছি।
তিনি বলেন, ‘আগের সিকিউরিটি পাসওয়ার্ড নিয়ে যাতে তারা কোনো কাজ করতে না পারে সে জন্য এটা করেছি। ল্যাপটপে ঢুকতে হলে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হবে। পাশাপাশি রবিবার থেকে নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রয়োজন হবে ওটিপি’।
তিনি জানান, ‘থানা নির্বাচন অফিসার ওটিপি ছাড়া ঢুকতে পারবে না। ওটিপি ছাড়া কোনো ল্যাপটপ আর ওপেন করতে পারবে না। থানা নির্বাচন অফিসারের কাছে ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি সে ইনসার্ট দেবে। যতবার সে ঢুকবে ততবার ওটিপির প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া আমাদের অন্যান্য যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার সেটা কিন্তু আমরা নিয়েছি’।
গতকাল বুধবার পর্যন্ত এনআইডির নিবন্ধনের কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি ল্যাপটপ চুরি হওয়ার কথা জানা গেছে। এর মধ্যে চারটি ২০১৪ সালে চুরি হয় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ কার্যালয় থেকে।
আরেকটি কবে ও কোথায় থেকে চুরি হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। চুরি হওয়া এসব ল্যাপটপ জাতীয় তথ্যভান্ডারের (সার্ভার) সঙ্গে যুক্ত। এনআইডি নিবন্ধনের কাজে এগুলোর ব্যবহার ঠেকাতে এত দিনেও কোনো ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা, এসব ল্যাপটপ গত মাস পর্যন্ত চালু ছিল এবং এগুলো রোহিঙ্গাসহ নানা ভুয়া এনআইডি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। এমন একটি ল্যাপটপ সোমবার উদ্ধারও হয়েছে।
-এটি