আওয়ার ইসলাম: আবারও সৌদি প্রশাসনের ধরপাকড়ের শিকার হয়ে শূন্য হাতে দেশে ফিরেছেন ১৬০ প্রবাসী।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান।
তিনি জানান, গত নয় মাসে দশ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী সৌদি থেকে ফিরেছেন। ফেরত আসা কর্মীদের বিমানবন্দরের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে খাবারসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করে।
ফেরত আসা কর্মীদের অভিযোগ, অনেকেরই ২০২০ পর্যন্ত তাদের আকামার মেয়াদ থাকা স্বত্ত্বেও তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কিছু কর্মী অভিযোগ, কফিল (মালিক) আকামা নতুন করে নবায়ন করেনি বা আকামা বাতিল করে তাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোনো সহযোগিতা করেনি।
তবে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে বলা হয়েছে, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ। কেউ আবার বৈধ মালিক রেখে অন্য মালিকের কাছে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন। অনেকের আবার ইকামার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে সৌদি আরব প্রশাসনের ধরপাকড়ের শিকার হয়ে দেশে ফেরেন ১৭৫ প্রবাসী কর্মী। এদের কারও ছিল খালি পা, কেউ আবার কাজের পোশাক পরেই বিমানে উঠেন।
সৌদি প্রেস এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের চলমান অভিযানে কাজ ও থাকার নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে প্রায় ৩৮ লাখ বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে এ অভিযান চলছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫২১ জনকে।
গ্রেপ্তার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৪০ হাজার ১০০ জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উল্রেখ্য, বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব। গত বছর সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের থেকে বাংলাদেশে ২৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যা মোট রেমিটেন্সের ১৮ শতাংশ।
-এএ