শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


তাহাজ্জুদ নামাজ নফল না সুন্নত?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদা বা নফল। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ নামায চার, ছয়, আট, দশ ইত্যাদি প্রমাণিত। এর চেয়ে বেশি বা কম পড়াতেও কোন সমস্যা নেই। যেহেতু নফল, তাই যত ইচ্ছা পড়া যায়। তবে উত্তম হল আট রাকাত পড়া।

وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ [١٧:٧٩

রাত্রির কিছু অংশ তাহাজ্জুদসহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। (সূরা বনী ইসরাঈল-৭৯)

আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমযানে নবীজীর নামায কেমন হত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানে এবং রমযানের বাইরে এগার রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন।–

(সহিহ বুখারি ১/১৫৪, হাদিস ১১৪৭; সহিহ মুসলিম ১/২৫৪, হাদিস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ি ১/২৪৮, হাদিস ১৬৯৭; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯, হাদিস ১৩৩৫; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬, হাদিস ২৪০৭৩}

আব্দুল্লাহ ইবনে আবী কাইস বলেন-

قلت لعائشة : بكم كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوتر؟ قالت: كان يوتر بأربع وثلاث, وست وثلاث, وثمان وثلاث, وعشر وثلاث, ولم يكن يوتر بأنقص من سبع, ولا بأكثر من ثلاث عشرة.

অর্থাৎ আমি হযরত আয়েশা রা.-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবীজী বিতরে কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তের রাকাতের অধিক পড়তেন না। -{সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩, হাদীস ১৩৫৭ (১৩৬২); তহাবী শরীফ ১/১৩৯; মুসনাদে আহমদ ৬/১৪৯, হাদীস ২৫১৫৯}

সূত্র: আহলে হক মিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ