আওয়ার ইসলাম: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায়ই রোহিঙ্গারা এনআইডি কার্ড পাচ্ছেন বলে ধারণা করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। কারণ নির্ধারিত কিছু কম্পিউটার ছাড়া এনআইডি কার্ডের জন্য তথ্য আপলোড করা যায় না।
এনআইডি কার্ডের তথ্য ইনপুট করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ একটি ল্যাপটপ চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ২০১৫ সালে গায়েব হয়। ভোটার তালিকা তৈরিতে ব্যবহৃত ওই ল্যাপটপটি দিয়েই রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরি করা হচ্ছে বলে ধারণা করছেন দুদক কর্মকর্তারা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তারা চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিশনের অফিসে যাওয়ার পরই এ তথ্য জানতে পারেন তারা। নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কম্পিউটার ছাড়া এনআইডির তথ্য আপলোডের সুযোগ না থাকায় দুদক কর্মকর্তারা ধারণা করছেন নির্বাচন কমিশনের অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায়ই এনআইডি পাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।
দুদকের তদন্তকারী দলের প্রধান শরীফ উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসে ব্যবহৃত ল্যাপটপ (আইপি নম্বর: ৪৩৯১) ২০১৫ সালে হারিয়ে যায়। এটা হারিয়ে যাওয়ার পর ইসির কর্মকর্তারা একটি সাধারণ ডায়েরি করতে পারতেন কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে পারতেন এবং হারিয়ে যাওয়া কম্পিউটারটির লাইসেন্স ব্লক করতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, তবে দুঃখের বিষয় গেল চার বছরে ইসি কর্মকর্তারা এমন কোনো পদক্ষেপই নেননি। এজন্যই আমরা ধারণা করছি নির্বাচন কমিশন অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা এতে জড়িত থাকতে পারেন। চট্টগ্রামের পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে আমরা ১৫৪ জন রোহিঙ্গার তথ্য পেয়েছি যারা এনআইডি পেয়েছেন। তাদের যারা সহায়তা করেছিলেন তাদের পরিচয় বের করার চেষ্টা করছি আমরা।
-এএ