আওয়ার ইসলাম: অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া গোলাম রাব্বানী।চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম ও ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় এবং তার কারণে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির ইমেজ নষ্ট হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের এই জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ছাত্রলীগের পদ হারানোর পর প্রথম স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চান রাব্বানী। পোস্টে নিজের ভুলত্রুটির জন্য অনুতপ্ত বলে জানিয়েছেন রাব্বানী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া গোলাম রাব্বানীর স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
মমতাময়ী নেত্রী, আপনার মনে কষ্ট দিয়েছি, আমি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী। প্রিয় অগ্রজ ও অনুজ, আপনাদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির পুরো মেলবন্ধন ঘটাতে পারিনি বলে আপনাদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী।
মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমিও ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নই। তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে আবেগ-ভালোবাসার এই প্রাণের সংগঠনের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী 'গর্হিত কোন অপরাধ' করিনি। আনীত অভিযোগের কতটা ষড়যন্ত্রমূলক আর অতিরঞ্জিত, সময় ঠিক বলে দেবে।
প্রাণপ্রিয় আপা, আপনি আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের সুযোগ্য তনায়া, ১৮ কোটি মানুষের আশার বাঁতিঘর। আপনার দিগন্ত বিস্তৃত স্নেহের আঁচল, এক কোণে যেন ঠাঁই পাই। আপনার ক্ষমা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাকিটা জীবন চলতে চাই।
প্রসঙ্গত চাঁদাবাজিসহ নানা অভিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে শোভন-রাব্বানীকে। বেশ কয়েকটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আগে থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এই দুই নেতা। এরপর গেল শনিবার আওয়ামী লীগের এক সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করে।
আরএম/