আওয়ার ইসলাম: নড়াইলে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফানসহ ৩ জনের নামে মামলা হয়েছে।
আজ সোমবার আহত পুলিশ ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফান, নাজমুল হাসান ও মেহেদী হাসানকে সোমবার দুপুরে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফানসহ তার লোকজন।
মাথাসহ দুই হাতে গুরুতর আহত পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফান আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে যানবাহনের কাগজপত্র দেখা হচ্ছিল। এ সময় কাগজপত্রবিহীন মোটরসাইকেলসহ এক যুবককে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি ওই যুবক মোবাইল ফোনে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল মাহমুদ তুফানকে জানালে তুফানসহ তার লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের সাথে ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করেন। এক পর্যায়ে তোফায়েল মাহমুদ তুফানসহ তার লোকজন চেরাই কাঠ দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামানকে বেধড়ক মারধর করে। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের মাথা ও দুই হাত গুরুতর আহত হয়েছে।
এছাড়া ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহ জালাল, এটিএসআই সরোয়ার আলম এবং একজন কনস্টেবল সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামানকে মারধরের ঘটনায় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল মাহমুদ তুফানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
-এএ