আওয়ার ইসলাম: ডেঙ্গু নির্মূলে মশার দেহে ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার প্রয়োগে সফল হয়েছে ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রাম। বিশেষ এ পদ্ধতিতে মশার দেহেই মারা যাবে ভাইরাস। কয়েকটি দেশে এ পদ্ধতিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছেন গবেষকরা। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেও ডেঙ্গু দমনে সফলতার আশা সংস্থাটির।
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভারত ও বাংলাদেশে শত শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। লাখ লাখ রোগীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল।
এ পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনালেন ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রামের গবেষকরা। ডেঙ্গু নির্মূলে মশার দেহে ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটাচ্ছে সংস্থাটি। সংক্রমণের আগেই ডেঙ্গু ভাইরাসকে মেরে ফেলছে উলবেচিয়া প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া।
ভিয়েতনাম ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক গুয়েন বিন গুয়েন জানান, এডিস ইজিপ্টি মশা ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান বাহক। তবে উলবেচিয়া ব্যাকটেরিয়া এর দেহে ভাইরাসকে নির্মূল করে রোগের সংক্রমণ বন্ধ করে দেয়।
মশার দেহে কোলেস্টেরলের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। তবে উলবেচিয়া ব্যাকটেরিযা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করে রোগের ভাইরাসকে টিকে থাকতে দেয় না। ফলে সংক্রমক রোগ ছড়াতে পারে না মশা।
এই ব্যাকটেরিয়ার প্রয়োগে নির্মূল হবে পীতজ্বর ও জিকা ভাইরাস এমনকি চিকুনগুনিয়াও। ফলে ভাইরাসজনিত রোগ ফিরে আসার সম্ভাবনাও কম।
স্থানীয়রা বলেন, শুরুতে এলাকায় মশা বেড়ে যাওয়ায় আমি খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি। কিন্তু এসব মশার ডেঙ্গু প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে জানতে পেরে নিশ্চিন্ত হয়েছি।
প্রাথমিকভাবে অস্ট্রেলিয়া, চীন ও ভিয়েতনামে মশকবাহী রোগ দমনে সফলতা এসেছে। ভিয়েতনামের ভিন লং প্রদেশে এক বছরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে ৮৬ ভাগ।
ইনস্টিটিউট অব হাইজিন এন্ড এপিডেমিলোজির পরিচালক ড্যাং ডাচ অ্যান বলেন, রোগ দমনে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে না। মশার কামড়ে মানুষেরও কোন ক্ষতি হবে না। এদিকে এশিয়ার বাকি দেশেও তাই এই পদ্ধতিতে ডেঙ্গু দমনে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
-এটি