আওয়ার ইসলাম: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া সারা দেশের ১৭৭ জন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আট সাংগঠনিক বিভাগের অভিযুক্ত নেতাদের অর্ধ মাসের সময় দিয়ে তাদের স্থায়ী ঠিকানা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে প্রথম ধাপে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কোনো মমদদাতাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়নি।
রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় সূত্রে এসব বিষয় জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রথম ধাপে শুধু দলীয় পদধারী আওয়ামী লীগ নেতাদের শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ তালিকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পর্যন্ত পদে থাকা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, যারা ইউনিউন পরিষদের ভোটে দলীয় প্রার্থী অর্থাৎ নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে নির্বাচন করেছেন।
শোকজ নোটিশে দল থেকে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। উত্তর সন্তোষজনক না হলে অভিযুক্ত নেতারা দলীয় পদসহ স্থায়ী বহিষ্কার হতে পারেন বলে আওয়ামী লীগ।
এর আগে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই প্রায় দুইশ নেতা নৌকার বিপক্ষে ভোট করেন। এর সঙ্গে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ ওঠে প্রায় অর্ধশত দলীয় এমপি, মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে। তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে অনেকটা একতরফা এই ভোটেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হেরেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে জুলাই মাসের ১২ তারিখে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ‘বিদ্রোহী’ ও তাদের মদদদাতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বন্যা, ডেঙ্গু ও শোকাবহ আগস্ট মাসের কারণে এই কার্যক্রম পিছিয়ে যায়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠিকানা বরাবর শোকজের চিঠি পাঠানো শুরু করে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। প্রথম দিনে পাঁচ বিভাগে শতাধিক নেতার স্থায়ী ঠিকানা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সরকারি বন্ধ থাকায় চিঠি পাঠানো হয়নি।
এর পরদিন বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাকি তিন বিভাগের নেতাদের বরাবর চিঠি পাঠায় ক্ষমতাসীন এই দলটি। তবে শোকজ তালিকায় আপাতত নৌকা প্রতীকের বিরোধী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদদাতা মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী নেতাদের নাম নেই। পরে তাদের নামেও শোকজ চিঠি পাঠানো হবে বলে দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
-এএ