আওয়ার ইসলাম: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ২২ লাখ ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। ইইউ জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামকে (ডব্লিউএফপি) এ অর্থ দেবে। খবর আনাদোলু এজেন্সি।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, উচ্চমাত্রায় অপুষ্টিতে ভোগা রোহিঙ্গা মা ও শিশুদেরকে জীবনধারণের জন্য খাদ্য সহায়তা সরবরাহে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এর ফলে বর্ষা মৌসুমের একাধিক ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবে শরণার্থীরা।
ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রাগান বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার দুই বছর পর এখন কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে তাদের অবস্থা সংকটপূর্ণ। এখানকার দশ লাখ রোহিঙ্গার ৮০ শতাংশ ডব্লিউএফপির খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, ইইউ’র এ অর্থ আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভোগা নারী ও শিশুদেরকে খাদ্য সহায়তা সরবরাহে সাহায্য করবে। এছাড়া এ অর্থের কিছু অংশ শিবিরগুলোতে দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি হিসেবে ব্যয় করব আমরা।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া দশ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির। এসব শরণার্থী এখনকার বর্ষা মৌসুমে একাধিক ঝুঁকির মুখে।
ইইউ’র মানবিক সাহায্য ও সংকট ব্যবস্থাপনা কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলিয়ানিডস বলেন, আমরা সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে গত দুই বছরে অনেক রোহিঙ্গার জীবন রক্ষা করেছি। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে মানবিক সাহায্য দেয়া এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ইইউ বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির প্রধান দাতা সংস্থাদের একটি এবং ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত চার কোটি ৫৫ লাখ ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা সরবরাহ করেছে।
-এএ