শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেণ স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশে ঢুকে মসজিদ নির্মাণে বাধা দিল বিএসএফ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা দোলাপাড়া সীমান্তে কেরামতিয়া বড় মসজিদের দোতলা ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ওই মসজিদের জানালা নির্মাণ কাজে বাধা দেন ভারতের শিতলকুচি থানার অমিত ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দল। এ ঘটনায় বাংলাদেশি লোকজনসহ মসজিদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় মসজিদ ও মাজারটি জিরো পয়েন্টে পড়ে যায়। কেরামতিয়া হুজুরের মাজার ও মোঘল আমলের মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ নানা নিয়তে নামাজ পড়তে আসে। মসজিদটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হলে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের অজুহাতে মসজিদ নির্মাণে বাধা দেয় ভারতীয় বিএসএফ।

২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ে মসজিদের নকশা অনুমোদন হওয়ার পর ওই বছরের ২৯ এপ্রিল দোতলা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কোটি টাকা ব্যয়ে এ মসজিদ নির্মাণের কাজ এখনো চলছে। কয়েক দিন ধরে মসজিদের দোতলায় জানালায় গ্লাস লাগানো হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে ভারতীয় বিএসএফ ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

ওই মসজিদে নামাজ পড়তে আসা আসাদুল ইসলাম জানান, জন্মের পর থেকেই দেখছি কেরামতিয়া হুজুরের মাজার ও মসজিদকে ঘিরে এখানে প্রতি শুক্রবার হাজার হাজার নারী ও পুরুষ আলাদাভাবে নামাজে সমবেত হয়।

কিন্তু দুই দেশের রাষ্ট্র পর্যায়ে নকশা অনুমোদন হওয়ার পরও শুক্রবার নিজে দেখলাম, ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশে প্রবেশ করে নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছে।

ওই মসজিদ কমিটির সম্পাদক আলিমুদ্দিন জানান, দুই দেশের মধ্যে নকশা অনুমোদন হওয়ার পর আমরা মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করি। কিন্তু প্রায় সময় ভারতীয় বিএসএফ নানা অজুহাতে নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। জানালায় রঙ্গিন গ্লাস লাগাতে বাধা দিলে আমরা সাদা গ্লাস লাগাতে শুরু করি। কিন্তু শুক্রবার সেই গ্লাস লাগাতেও বাধা দেওয়া হয়।

৬১-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির বড়খাতা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ইব্রাহিম মোল্লা জানান, ভারতীয় বিএসএফ মসজিদের নির্মাণ কাজে বাধা দিলেও নির্মাণ কাজ বন্ধ নেই। ভারতীয় বিএসএফ আমাদের সাথে নিয়ে মসজিদের নির্মাণ কাজ ঘুরে দেখেছেন। এখন নির্মাণ কাজ চলছে পাশাপাশি এ বিষয়ে বিএসএফের সাথে আলোচনাও হচ্ছে।

৬১-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির রংপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল শরিফুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ