আওয়ার ইসলাম: ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা জানতে দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সেখান থেকে ছবি পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করেছেন তিনি।
দেশে ফিরেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান মেয়র খোকন। ডেঙ্গুমুক্ত শহর গড়তে তিনি নগরবাসীর সহযোগিতা চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সর্বশক্তি প্রয়োগ করার কথাও জানান তিনি।
মেয়র খোকনের সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতার কথা সংসদে তুলে ধরেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পিতবার (১২ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এডিস মশাকে স্টোরাইড করে কিভাবে সেখান থেকে এডিসের প্রজনন বন্ধ করা যায়, কিভাবে লার্ভা তৈরি না হয় সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমার একজন মেয়র সিঙ্গাপুর গেছেন। তিনি সেখানে দেখে আসছেন, আমাকে ছবি পাঠাচ্ছেন, আমি দেখছি। উত্তরের মেয়রও বেচারা ঘরে ঘরে কোথাও ময়লা আবর্জনা আছে কিনা দেখতে গিয়ে পড়ে গিয়ে বেচারার পা ভেঙে গেছে। বিত্তশালী বাড়িতে গিয়ে, সাধারণ মানুষের বাড়িতে না। কারণ উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট, এই অবস্থা তাদের।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একদিকে দামি গাড়ি, চকচকে বাড়ি ভিতরে গেলে ময়লা-আবর্জনা। পিছলা খেয়ে আমার উত্তরের মেয়রের পা ভেঙে গেল। আজকে আসছিলো আমার কাছে, আমি বললাম ভাই কোথায় গিয়ে পা ভাঙলো? বললো বিশাল বিত্তশালী এক বাড়িতে যেয়ে আমার পা-টা ভাঙলাম। এই হলো অবস্থা। সে জন্য বারবার আহ্বান করেছি এটা শুধু সরকার ঠেকাবে কেন? নিজের বাড়ি-ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, লার্ভা যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা করা। নিজেকে নিজে সুরক্ষিত করতে হবে, আমরা সহযোগিতা করে যাচ্ছি। মশা মারার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি, সাথে সাথে নিজেকেও সুরক্ষা করতে হবে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে মেয়র সাঈদ খোকন ও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহমেদ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। সফর শেষে শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।