আওয়ার ইসলাম: উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে ৭০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ১০৫ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ রোববার (৮ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।
বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারি আইনজীবী।
রিটে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব, আইন সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেল সহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনায় অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন আইনজীবীদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা সংবিধানের ১৯, ২২, ২৭, ২৮, ২৯ এবং ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
এছাড়া সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আইন কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ আইনজীবী আরও বলেন, সৎ, যোগ্য ও মেধাবীদের বাদ দিয়ে এবং পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বিবেচনা না করে শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৫ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মধ্যে ব্যারিস্টার আল-মামুনের হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের সময়কাল চার বছর দুই মাস।
যা আইনানুযায়ী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগের ক্ষেত্রে হাইকোর্টে ন্যূনতম পাঁচ বছর প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে। এ নিয়োগ বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৩(৩) এবং বাংলাদেশ ল’ অফিসার (সংশোধিত) আইন ২০০১ এর সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন বলে তিনি জানান।
আল-মামুন ছাড়াও নিয়োগ পাওয়া ১০৫ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মধ্যে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ক্রমিক নাম্বার ৯৯ থেকে ১০৫ পর্যন্ত (১০৪ নং বাদে) ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সন্দেহজনক।
কারণ প্রজ্ঞাপনে এদের কারো হাইকোর্টে তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এ সকল নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা ৫ বছর আছে কি-না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
-এটি