আওয়ার ইসলাম: ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোলি পাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় কোদাল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন। মৃত ব্যাক্তির নাম হাবিল মোমিন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, আটক অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবকের নাম সাত্তার রহমান (৩৭)। গতকাল শনিবার রাতে স্থানীয় জামে মসজিদে একাই নমাজ পড়ছিলেন হাবিল মোমিন।
মসজিদে নামাজ আদায়ের মধ্যেই হাবিলকে পিছন থেকে কোদাল দিয়ে আঘাত করে সাত্তার রহমান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাবিল মোমিনের। চিৎকারের শব্দ পেয়ে পরিবারের লোক ও স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে হাবিলকে উদ্ধার করে বুনিয়াদপুরের রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তবে ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বংশীহারী থানার পুলিশ।
মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ধৃত সাত্তার রহমানকে বুনিয়াদপুরে অবস্থিত গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে। পুরানো শত্রুতা না অন্য কিছু কারণে খুন, তার তদন্তে বংশীহারী থানার পুলিশ।
মৃতের ছেলে মতিবুর রহমান বলেন, তিনিও তার বাবার সঙ্গে মসজিদে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। তার নমাজ পড়া হয়ে গেলে তিনি চলে আসেন। কিন্তু তার বাবা নমাজ পড়ার পর কুরআন পাঠ করেন।
সেসময় তার বাবা একাই মসজিদে ছিলেন। তিনি মসজিদের অদূরে একটি বাড়িতে টিউশন পড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনতে পান তার বাবার।
মসজিদের সামনে আসতেই দেখেন, হাতে কোদাল নিয়ে মসজিদের দরজা আটকাচ্ছে সাত্তার রহমান। তিনি দরজার কাছে যেতেই পালিয়ে যায় সাত্তার। ভিতরে গিয়ে দেখেন তার বাবা লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন।
সাত্তার রহমান কোদাল দিয়ে মেরে তার বাবাকে খুন করেছে বলেই অভিযোগ মতিবুরের। কিন্তু অভিযুক্তর সঙ্গে তার বাবার কোনও শত্রুতা ছিল না বলেই দাবি করেন মতিবুর।
-এটি