আবদুল্লাহ তামিম ♦
দীর্ঘদিন পর মালয়েশিয়ার মেলাকার চীনা মসজিদে উপস্থিত হয়েছেন আলোচিত বক্তা ডা. জাকির নায়েক। মেলাকাতে আইকনিক চিনা মসজিদে ডা. জাকির নায়েককে পেয়ে শত শত সমর্থক তাকে সংবর্ধনা জানায়।
মালয়েশিয়ার পত্রিকা মালায় মেইলের বরাতে জানা যায়, সন্ধ্যায় মেলাকার এ মসজিদে উপস্থিত হলে প্রায় দুই হাজার মুসল্লির ইমামতি করেন তিনি।
নামাজের পরে আলোচনা করতে চাইলে সরকারীভাবে আলোচনা করতে নিষেধ করা হয়। ছবিতে দেখা যায়, সাধারণ নীল রঙের শার্ট, কালো প্যান্ট ও টুপি পরিহিত ডা. মাগরিবের নামাজ পড়াচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, আগ্রহী সমর্থকরা তার সঙ্গে দেখা করতে ও স্বাগত জানাতে ভীর করছেন।
উপস্থিত জনতাকে তিনি বলেন, আমি পেনাং থেকে এসেছি। এখানে এক বন্ধু আছে আমার, তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে এসেছি আমি।
জানা যায়, গত মাসে কেলান্টনে বিশাল জনতার সামনে বিতর্কিত বক্তৃতা দেওয়ার পর ডা. জাকির নায়েক এই প্রথম জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতের ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।
কিন্তু এরই মধ্যে সম্প্রতি তিনি মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করছে।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার ৬০ শতাংশ মুসলিম বাদে বাকি ৪০ শতাংশ মানুষের অধিকাংশই চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তার এমন মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তার ওই বক্তব্যের পর মালয়েশিয়া থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি ওঠে।
এর আগে নিজের বক্তৃতার জন্য ২০১৬ সালে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েন জাকির নায়েক। ওই সময় তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও উগ্রপন্থাকে উসকে দেয়ার অভিযোগ তুলেছিল ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
একই অভিযোগে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) ও পিস টিভি।
এসব অভিযোগের পর ২০১৬ সালের ১ জুলাই ভারত ছেড়ে যেতে বাধ্য হন জাকির নায়েক। ভারতে মামলা হওয়ার পর জাকির নায়েক মালয়েশিয়ায় আশ্রয় চাইলে তাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় তৎকালীন নাজিব রাজাক সরকার। এর পর থেকে জাকির নায়েক মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া শহরে বসবাস করে আসছেন। সূত্র: মালায় মেইল
-এটি