আওয়ার ইসলাম: গ্রামীণ ফোনের কাছে বিটিআরসির পাওনা ছিল ১২ হাজার কোটি টাকা, আর সেই পাওনা টাকা চাওয়ার পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারে দরপতন শুরু হয় এবং গত ৫ মাসে টানা দরপতনে মোট লোকসান গুণতে হয় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।অর্থাৎ মোট ঋণের তুলনায় আরো ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি।
অবশ্য শুধু গ্রামীণ ফোনেরই নয়, পুরো শেয়ারবাজারের চিত্রই সামগ্রিকভাবে ঋণাত্মক।টানা দরপতনের কারণে পূঁজি হারিয়ে দেউলিয়া হচ্ছেন হাজার হাজার বিনিয়োগকারী।
গত পাঁচ মাস আগে গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা টাকা দাবি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।এরপর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমতে থাকে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, গত প্রায় পাঁচ মাসে শেয়ারের দর ১২২ টাকা কমে এখন ৩০০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। গত ১ এপ্রিল কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ৪১৭ টাকা। আর গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ২৯৫ টাকায়। বাজারে কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি।
জানা গেছে, উদ্যোক্তা পরিচালকদের বাইরে বাকি শেয়ারের মধ্যে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে রয়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার।
বিটিআরসি গত ২ এপ্রিল গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়। এর মধ্যে একটি বড়ো অংশ রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ ফোনের মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। সেই হিসেবে দরপতনের কারণে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সবচেয়ে বেশি।
আরএম/