শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বস্তাবন্দি শিশুর লাশ, পাশে ছিল মুক্তিপণের চিরকুট আইনজীবী আলিফ হত্যায় কাউকে ছাড় নয়: ধর্ম উপদেষ্টা শীতে কাপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি কাদের মির্জার শ্যালক চট্টগ্রামে গ্রেফতার আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা এত ভয়াবহ অনেকেই তা বলতে চায় না: নাহিদ চিন্ময়সহ ১৭ ইসকন সদস্যের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের নির্দেশ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা

‘রোহিঙ্গা স্থানান্তর সমর্থন করো, নইলে দেশ ছাড়ো’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরে বাংলাদেশের যে পরিকল্পনা তাতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সমর্থন দিক, নয়তো তারা দেশ ছেড়ে চলে যাক।

গত ২৬ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেন। তবে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়।

সাক্ষাৎকারে দেখা যায়, অধিকাংশ রোহিঙ্গাই মিয়ানমারে ফিরতে চায় না। সে কারণেই কি বাংলাদেশ তাদের ভাসানচরে সরাতে চাইছে এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানোর এখনই সময়।

তবে ওই দ্বীপে সব রোহিঙ্গাকে পাঠানো সম্ভব নয়। আমরা মাত্র এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে পাঠাতে পারি। আমরা তাদের জোর করে পাঠাতে চাই না। আমরা আশা করেছিলাম, তারা স্বেচ্ছায় সেখানে যাবে।

সেখানে তারা অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে। কিন্তু কক্সবাজারে কাজ করা ত্রাণ সংস্থাগুলো ভাসানচরে যেতে চায় না। কক্সবাজারে তারা পাঁচ তারকা হোটেলে থাকতে পারেন, তাই তারা অন্য জায়গায় যেতে চান না।

আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার মধ্যে যারা রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনীতিকরণ করতে চাইছে আমরা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

তার মানে কি এই যে, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বাংলাদেশের পরিকল্পনা সমর্থন না করলেও রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হবে এমন প্রশ্নে ড. মোমেন বলেন, ‘হ্যাঁ সম্ভবত।

আমরা অনেক লিফলেট, সিডি ও ভিডিও জব্দ করেছি, যেগুলোয় রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট কিছু দাবি না মানলে মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কিছু দাবি মানতে রাজি হয়েছে, যেমন নিরাপত্তা দেওয়া ও চলাফেরার অনুমতি।

তবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া, রোহিঙ্গাদের এথনিক গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের নিজেদের ঘরবাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়ার মতো দাবি মানা হয়নি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর