আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল্লাহ হুসাইনি বলেছেন, ভারত সরকার আসামে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ মানুষকে নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ দিয়ে দেয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতিসহ অনেক গণ্যমান্য লোকের পরিবারকেও এ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আজ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের ২০১৮-১৯ সেশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি নতুনভাবে তালিকা প্রণয়ন করে বাদ পড়াদের নাগরিকত্ব প্রদান করার আহ্বান জানান।
মুহাম্মদ আতাউল্লাহ হুসাইনি আরও বলেন, দেশের শিক্ষাঙ্গন, হসপিটালসহ প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ অবক্ষয় থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি ছাত্রজনতাকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের পতাকা তলে আবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী ইসলামী সংগঠন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ উবায়দুর রহমান এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মুফতি নূর মোহাম্মদ আজিজী, মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, মাওলানা আব্দুর রহীম সাঈদ, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এহসানুল হক।
সাবেক ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি আব্দুল মুমিন, সাবেক ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক তারিক বিন হাবীব, বায়তুলমাল সম্পাদক সাদিক সালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালাহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য আল মাহমুদ আতিক, কাজী ফাবাশ্বির আহমদ প্রমুখ।
অধিবেশনে গৃহিত প্রস্তাবনামূহ হচ্ছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য, রাহাজানি বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে, পাঠ্যবই থেকে ডারউইনের বিবর্তনবাদ থেকে বাদ দিতে হবে, উন্নয়নের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে, ধর্মীয় অনুশাসন পালনে অভ্যস্থ শিক্ষার্থীদেরকে অযথা হয়রানী বন্ধ করতে হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের ভিন্ন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান এবং ধর্ষণ ও যৌন হয়রানী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সারা বিশ্বে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
আরএম/