আবদুল্লাহ তামিম ♦
বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-কসার ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে চালু করা হচ্ছে আকসাপিডিয়া। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিমদের একটি উদ্যোগ। অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
লক্ষ্য আল আকসা মসজিদ সম্পর্কে এনসাইক্লোপেডিক জ্ঞান সরবরাহ ও সংরক্ষণ করা।মালয়েশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত একটি বহু-ভাষী ওয়েবসাইটের আওতায় আকসাপিডিয়া মুসলমানদের জন্য আল আকসা মসজিদের গুরুত্ব এবং ঐতিহাসিক বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ভিত্তিতে চালু করা হবে।
ওয়েবসাইটটি আল কুদস ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়ার অন্যতম একটি প্রকল্প। ওয়েবসাইটটির সমর্থক এবং কর্মীরা সম্প্রতি ‘জ্ঞান-ভিত্তিক এনসাইক্লোপিডিয়া’ উদ্বোধন উপলক্ষে একটি ইভেন্টেও চালু করেছে।
ইভেন্টে বলা হয়, আমরা এখন কেবল মুসলমানদের জন্যই নয়, সমস্ত স্বাধীন মানুষ যারা মানবাধিকারের গুরুত্বকে বিশ্বাস করে, ধর্মকে সম্মান করে এবং সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে তাদের জন্য আমরা এ ইতিহাসকে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছি।
আকসাপিডিয়া কী?
আকসাপিডিয়া, আল ইকসা মসজিদের ‘নথিভুক্ত তথ্য’, ইহুদিরা দাবি করে, মসজিদুল আকসা ইহুদি ঐতিহ্যের অংশ, তাদের ধর্ম অনুযায়ী এটি তাদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান।
বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, জায়নিস্ট রাষ্ট্রটির লক্ষ্য ইসলামি ঐতিহ্য ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য পবিত্র স্থানে ব্যাপক খননকাজ চালিয়ে মসজিদের ভিত্তি দুর্বল করা।
প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক জামাল আম্রো বলেন , গত বছরে আল আকসা মসজিদের নীচে ইসরায়েলের খনন কাজ চালিয়েছিলো তাদের ঐতিহ্য প্রমাণ করতে। কিন্তু তারা কিছু পায়নি। আর তারা এখনও সে চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই অধ্যাপক আরও বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে খননকাজ চালাচ্ছে তারা। তাদের উদ্দেশ্য আল আকসার ভিত্তি দুর্বল করা। আর দুর্বল হলেই আল আকসা ভেঙ্গে পড়বে।
মসজিদটির নির্মাণ, বিকাশ এবং ইতিহাস সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খানু গবেষণা প্রচারের জন্য ওয়েবসাইটটি একটি বিশেষ স্থান দখল করতে চায়। মুসলিম জনগণকে ইসলামি ঐতিহ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করতে চায়।
গতকাল মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটটি চালু করা হয়। ওয়েবসাইটটি দেখতে ক্লিক করুন সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
-এটি