তারেক সাঈদ: সামর্থবান প্রত্যেক নর-নারী মুসলমানের উপর হজ ফরজ করা হয়েছে। আর সে কারণেই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ পালনের উদ্দেশ্যে কাবা প্রান্তে পবিত্র মক্কায় সমবেত হয়।
কুরআনে কারিমে স্পষ্ট আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন, সামর্থবান প্রত্যেক মানুষের উপর বাইতুল্লার যিয়ারত আবশ্যক। (সূরা আল-ইমরান- ৯৭)
বহুসংখ্যক হাদিস দ্বারাও প্রমানিত। কিন্তু জানার বিষয় হচ্ছে আমাদের প্রিয় নবি সা. মোট কতবার হজ ও উমরা পালন করেছেন?
রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারবার উমরা করেছেন। প্রত্যেকটি যিলকদ মাসে। প্রথমটি হুদায়বিয়ার উমরা, যা ষষ্ঠ হিজরিতে হয়েছে। কাফেরদের প্রতিরোধের কারণে বাইতুল্লাহ শরিফে এ বছর যাওয়া হয়নি।
হুদায়বিয়াতেই ইহরাম ত্যাগ করেছিলেন। দ্বিতীয় উমরা পরবর্তী বছর হয়েছে। তৃতীয় উমরাতুল জি’রানা। হুনাইন থেকে ফেরার পথে জি’রানা থেকে ইহরাম বেঁধে ছিলেন। চতুর্থটি বিদায় হজের সাথে করেছেন।
তাহলে সর্বমোট উমরা চারটি হলেও পৃথক সফরে পূর্ণ উমরা হয়েছে মোট দুইটি। আর হিজরতের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি মাত্র হজ্ব করেছেন। সেটি হল বিদায় হজ।
বিদায় হজ দশম হিজরিতে হয়েছে। হিজরতের আগে কয়টি হজ করেছেন এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বলা যায় না। জামে তিরমিজির এক বর্ণনায় দুইটির কথা আছে। তবে অন্যান্য দলীল দ্বারা তাবেয়ীন ও মুহাদ্দিসগণ আরো বেশি সংখ্যক হজের কথা উল্লেখ করেছেন।
এমনকি ইবনুল আমির রাহ. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের আগে প্রতি বছরই হজ করতেন। এটাই স্বাভাবিক। এর সঠিক সংখ্যা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ৮/৪৪৪-৪৪৯; শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়াহ ৪/১৪১; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭/৪০৬; সহিহ বুখারি ১/২৩৮; সহিহ মুসলিম ১/৩৯৪; জামে তিরমিজি ১/১৬৮; সুনানে ইবনে মাজাহ পৃ. ২২০।)
-এটি