আওয়ার ইসলাম: কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যার পানিতে ডুবে গত দুই সপ্তাহে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার ভোরে জেলার রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নে পানিতে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এ জেলার ৫৭টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সুজাউল ইসলামের বরাতে জানা যায়, বন্যার পানিতে শনিবার প্রাণ হারানো খাইরুজ্জামান (৬৫) ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মন্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে ভেলায় করে বাড়ি ফেরার পথে পানিতে ডুবে মারা যান।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, বন্যার ফলে ৫৭টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ২০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক হাজার ২৪৫ কিলোমিটার রাস্তা, ৪০ কিলোমিটার বাঁধ ও ৪১টি ব্রিজ- কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪টি। প্রায় ২ লক্ষাধিক গবাদিপশু পানিবন্দী রয়েছে।
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাদরাসা ৭০টি, মহাবিদ্যালয় ১৭টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪০টি।
এছাড়া ১ হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫৩৬টি। নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৪টি। এতে ১ লাখ ৩৫ হাজার শিশুর পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত ৫ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ হাজার ৪২৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৬৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
-এটি